Description
সরিষার তেলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তা হলো:
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: সরিষার তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
- চুলের যত্ন: সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তি বাড়াতে সহায়ক। তেলটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা চুলের গোঁড়া মজবুত করে।
- ত্বকের যত্ন: সরিষার তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী। এটি ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা আনতেও সাহায্য করে।
- প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল: সরিষার তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হজমে সহায়ক: সরিষার তেল হজমের সমস্যার জন্যও উপকারী। এটি অন্ত্রের গতি ঠিক রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
- যৌথ ব্যথা এবং প্রদাহ উপশমে সহায়ক: সরিষার তেলে থাকা সেলেনিয়াম যৌথ ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি আথ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায় উপকারী।
- ঠান্ডা এবং কাশি উপশমে: সরিষার তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে ঠান্ডা এবং কাশি কমে। এটি নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস নিতে সহায়তা করে।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: সরিষার তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের বিভিন্ন ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ এতে ইরুসিক অ্যাসিড থাকে যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন: সরিষার তেল প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। এতে ভিটামিন E থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট (UV) রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক।
- ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক: সরিষার তেল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি ত্বকে বা শরীরের ক্ষতস্থানে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক।
- ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ: সরিষার তেলে থাকা বাষ্প বা ধোঁয়া সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক চামচ সরিষার তেল হালকা গরম করে গলা বা বুকে ম্যাসাজ করলে আরাম পাওয়া যায়।
- জয়েন্টের ব্যথা এবং মাসল পেইন দূর করে: সরিষার তেলে ক্যাপসাইসিন এবং গ্লুকোসিনোলেট নামক দুটি উপাদান থাকে, যা ত্বকে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এটি আর্থ্রাইটিস বা অন্য কোনও ধরনের মাসল পেইনেও কার্যকরী।
- পোকামাকড়ের কামড় থেকে সুরক্ষা: সরিষার তেলের গন্ধ পোকামাকড়কে দূরে রাখে। তাই এটি প্রাকৃতিক মশা প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হজম ক্ষমতা বাড়ায়: সরিষার তেল পাকস্থলীতে হজমের রসের উৎপাদন বাড়ায় এবং পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সরিষার তেলে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা: সরিষার তেল দিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ হয়। এটি দাঁতের সমস্যা এবং মুখের দুর্গন্ধ কমাতে কার্যকরী।
তবে সরিষার তেল ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এটি সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা এবং গুণগতমান বজায় রেখে ব্যবহার করা উচিত, কারণ অতিরিক্ত ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
0.0 Average Rating Rated (0 Reviews)