Description
শীতকালের প্রধান আকর্ষণ হলো খেজুরের রস ও খেজুরের গুড়। শীতের পিঠা পুলি তৈরিতে যেমন খেজুরের রস ও খেজুরের গুড়ের জুড়ি নেই। খেজুরের গুড়ের স্বাদ লাভের জন্য হেমন্তের শুরু থেকেই গ্রাম বাংলায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এ সময়ে গাছিরা (যারা খেজুর গাছে কেটে রস সংগ্রহ করে) বাড়িবাড়ি ঘুরে গাছ পর্যবেক্ষণ করেন এবং কোন কোন গাছ হতে রস সংগ্রহ করবেন তা নির্ধারণ করেন। গাছ কাটার জন্য সংগ্রহ করেন ধারালো কাঁচি, ছোট ও মাঝারি আকারের ঘটি/হাঁড়ি, মোটা রশি, চুন ইত্যাদি। মাটির হাঁড়ি সমূহের বহিরাংশে চুন দিয়ে কয়েক দিন রৌদ্রে শুকিয়ে রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করেন। সেইসাথে শীতের শুরুতে ধারালো কাঁচি দিয়ে খেজুর গাছের পুরাfতন ডালা কেটে দেন।
খেজুরের গুড় পাটালি একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য, এবং এর উপকারিতা অনেকগুলি রয়েছে:
- উচ্চ শক্তি সরবরাহকারী: খেজুরের গুড় পাটালি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন শক্তির একটি উত্কৃষ্ট উৎস। এটি কার্বোহাইড্রেট ও শক্তির সোর্স হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
- পুষ্টিশালী এবং ভিটামিন-মিনারেল সমৃদ্ধ: খেজুরের গুড়ে মিনারেলস এবং ভিটামিন প্রচুর থাকে, যা শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি আয়রন, পোটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ইত্যাদি সরবরাহ করে।
- ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সহায়ক: খেজুরের গুড় পাটালি ফাইবারের ভালো উৎস, যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সাহায্য করতে পারে এবং পোষণগুলি ভালোভাবে সম্প্রেষণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী: খেজুরের গুড় পাটালি ফাইবারের উপস্থিতি কারণে এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বা প্রচুরক হিসেবে ব্যবহার: খেজুরের গুড় পাটালি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বা প্রচুরক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে, যেমন শারীরিক শক্তি উন্নত করা, ত্বক স্বাস্থ্য উন্নত করা ইত্যাদি।
এই সক্ষমতা সমৃদ্ধ খাদ্যটি মতামত, এককালের খাদ্য হিসেবে বা মিষ্টি হিসেবে অনেকগুলি সংস্কৃতি এবং খাদ্য প্রণালীতে ব্যবহৃত হতে পারে।
0.0 Average Rating Rated (0 Reviews)